Computer Troubleshooting

কম্পিউটার/ল্যাপটপ বিষয়ক বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে

Computer Troubleshooting Tips and Tricks

এটিকে একটি পরিচিত সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত করতে চাই। নিয়মিত কম্পিউটার চালু হয় না এমনটা বললে মনে হয় ভুল বলা হবে না। নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে এই সমস্যার একটাই সমাধান। তা হচ্ছে বিক্রেতার শরণাপন্ন হয়ে অযথা পয়সা খরচ। নিচের কথাগুলো শুনুন মনোযোগ দিয়ে। আশা করি আপনার চেষ্টা বিফলে যাবে না।

# পাওয়ার সুইচ অন করার পর সিস্টেমের ইন্টারনাল স্পিকার কয়টা আওয়াজ করলো খেয়াল করুন। যদি বীপ সংখ্যা এক হয় তার মানে কম্পিউটার ডিসপ্লে আউটপুট পাচ্ছে না। অথবা কীবোর্ড মাদারবোর্ডের সাথে ঠিকমতো সংযুক্ত না হলেও এমনটা হতে পারে।

# যদি একটি বড় বীপের পর দুটি ছোটো বীপ হয় তারমানে র‌্যাম পাচ্ছে না আপনার মাদারবোর্ড। র‌্যাম পরিবর্তন না স্লট পরিবর্তন করে দেখুন।

# যদি একটি বড় বীপের পর তিনটি ছোট বীপ হয় তাহলে বুঝবেন নিশ্চিতভাবেই ডিসপ্লে বা গ্রাফিক্স আউটপুটের সমস্যা।

# আর যদি একটা বড় বীপ তারপর চারটা ছোট বীপ হয় তারমানে আপনার মাদারবোর্ড বা গুরুত্বপূর্ণ কোন হার্ডওয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা ঠিকমতো কাজ করছে না।

# তবে এর জন্য আপনার পিসিতে ইন্টারনাল স্পীকার কিন্তু থাকতে হবে। অনেক মাদারবোর্ডে ইন্টারনাল স্পীকার বিল্ট-ইন থাকে।অন্যগুলাতে আলাদা লাগাবে হয়।সাধারনত কম্পিউটার কেনার সময় বিক্রেতাই এটি দিয়ে দেয় তবে অনেকসময় ভুলে তা ঠিকমতো লাগানো নাও থাকতে পারে।সেক্ষেত্রে আপনার মাদারবোর্ডের বক্সে দেখুন স্পীকার পান কিনা।নইলে সময় করে বিক্রেতার কাছ থেকে নিয়ে আসুন।বুঝতেই পারছেন কেন আমি এটাকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছি।

# মনিটরের দিকে তাকান। এটি কি স্লীপ মোডে আছে ? অর্থাৎ এর লেড লাইট কি জ্বলছে নিভছে কিনা খেয়াল করুন। যদি তা না হয় অর্থাৎ লেড লাইট জ্বলেই থাকে এবং মনিটরে কিছু না কিছু দেখা যায় তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। আপনার মাদারবোর্ড ও গ্রাফিক্স কার্ড ঠিক আছে।সমস্যাটা ছোটোখাটো।নো টেনশন!

# যদি পাওয়ার অন করাই সম্ভব না হয় তাহলে কেসিং খুলে দেখুন নিঃসন্দেহে আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা। খোঁজার চেষ্টা করুন সমস্যাটা কোথায়।

# এবারে ধরুন মাদারবোর্ডের পাওয়ার লেড জ্বলছে কিন্তু কেসিংয়ের পাওয়ার বাটন চাপলেও পিসি রেসপন্স করছে না তখন বুঝতে হবে কেসিংয়ের পাওয়ার সাপ্লাইয়ে কোনো সমস্যা হবার কারণে এটি পর্যাপ্ত ভোল্টেজ আউটপুট দিতে পারছে না। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে অন্য পাওয়ার সাপ্লাই লাগিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।

# এবারেও কাজ হয়নি ? হতে পারে আপনার পাওয়ার সুইচেই সমস্যা। অভিজ্ঞ কাজ জানা ব্যবহারকারীরা সম্ভব হলে মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে মাদারবোর্ডের পাওয়ার বাটন পিন দুইটি বের করে তা কোনোভাবে কন্টাক্ট করে দেখতে পারেন কাজ হয় কিনা। তবে অনভিজ্ঞরা এই কাজটি না করতেযাওয়াটাই ভালো।

# পাওয়ার সংক্রান্ত সমস্যার আশাকরি সমাধান হলো। এবারও কম্পিউটার চালু হচ্ছে না ? তাহলে বুঝতে হবে র‌্যামের সমস্যা। র‌্যামের স্লট পরিবর্তন করে নতুবা অন্য র‌্যাম লাগিয়ে দেখুন।

# কম্পিউটার বুট হলো ঠিকঠাক কিন্তু উইন্ডোজ লোডিং-এর আগেই আটকে গেছে ? তখন বুঝতে হবে আপনার হার্ডডিস্কের সমস্যা। হার্ডডিস্কের পাওয়ার ও ডাটা ক্যাবলের কানেকশন চেক করুন। সম্ভব হবে মাদারবোর্ডের যে কানেক্টরে ক্যাবলটি লাগানো তা পরিবর্তন করে দেখুন। এছাড়া এমনটি কি হচ্ছে কম্পিউটার ঠিকমতো চালু হচ্ছে হয়তো অপারেটিং সিস্টেমও লোড হচ্ছে তারপর ধুড়ুম করে পিসি বন্ধ হয়ে রিস্টার্ট করছে। এটি সম্ভবত প্রসেসরের কুলিং ফ্যান বা হিটসিংক ও প্রসেসরের কানেকশনের দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। চেক করে দেখুন ফ্যান ঠিকমতো ঘুরছে কি-না বা ফ্যানসহ সবকিছু ঠিকমতো টাইট আছে কিনা। পারলে কুলিং ফ্যানসহ হিটসিংক খুলে আবারও লাগান। কুলিং ফ্যান দুইপাশে একসাথে চাপ দিয়ে খুলতে হয়। 

আর হঠাৎ করে বন্ধ না হলে মানে একটু সময় নিয়ে সংকেত দিয়ে বন্ধ হওয়া মানে ভাইরাসের আক্রমণের শিকার আপনি। হঠাৎ বলতে আমি এটা বুঝাচ্ছি যে কম্পিউটার চলার সময় পাওয়ার চলে গেলে যেভাবে বন্ধ হয় সেরকম ঘটনা।

এছাড়াও কোনো না কোনো ক্যাবল লুজ/ নষ্ট হয়ে যাবার কারণেও কম্পিউটার চালু হওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ব্যাপারটিও খেয়াল রাখবেন।

যদি মনিটরে কোনো ডিসপ্লে না আসে এবং এর লেড লাইট জ্বলে নিভে তখন বুঝতে হবে গ্রাফিক্স/ভিডিও কার্ডে কোনো সমস্যা বা মনিটরের ক্যাবল কানেকশন লুজ হয়ে গেছে। কানেকশন চেক করুন। অনেকসময় র‍্যামের স্লট পরিবর্তন করলেও এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।বায়োস সেটিংস রিসেট করেও দেখতে পারেন।

যদি মনিটর ও পিসির পাওয়ার সুইচ অন করার পর তিনটি শর্ট বীপ শুনতে পান তাহলে বুঝতে হবে গ্রাফিক্স কার্ডে সমস্যা। আপনার গ্রাফিক্স কার্ডটি খুলে অন্য পিসিতে লাগিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন এটি ঠিক আছে কিনা। আর যদি বিল্টইন গ্রাফিক্স হয় তাহলে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড এজিপি স্লটে লাগিয়ে টেস্ট করতে পারেন।ইন্টিগ্রেটেড এজিপির সমস্যা সমাধানে বায়োস সেটিংস রিসেট করে দেখতে পারেন।

যদি মনিটর ঝাপসা মনে হয় বা এটি কাঁপতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে মনিটর ও গ্রাফিক্স কার্ডের রিফ্রেশ রেটে অসামঞ্জস্য আছে। যদি উইন্ডোজ লোড হওয়াকালীন এই সমস্যা হয় তাহলে বুঝবেন মনিটরের রিফ্রেশ রেট ভুলভাবে সেটিংস করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সিস্টেম বুট হবার পর যখন Starting Windows মেসেজটি দেখবেন তখনই কী-বোর্ডের এফ৮ চেপেসেফ মোডে উইন্ডোজ চালু করুন। এর গ্রাফিক্স/ডিসপ্লে প্রোপার্টিজে গিয়েরিফ্রেশ রেট ঠিক করুন।

যদি মনিটরে অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন দেখা যায় এবং চালু করতে গেলে মনিটর কাঁপতে থাকে বা চালুই হয় না তখন বুঝতে হবে একহয় আপনার ডাইরেক্ট এক্স পুরাতন অথবা গ্রাফিক্স কার্ডের লেটেস্ট ড্রাইভার নেই। তাই সবসময় লেটেস্ট ডাইরেক্ট এক্স ব্যবহার করবেন ও গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার আপডেটেড রাখবেন। এরপরও সমস্যা থাকলে বুঝতে হবে আপনার ভিডিও কার্ড ও উইন্ডোজের মধ্যে কম্পাটিবিলিটিতে সমস্যাআছে। এমতাবস্থায় অভিজ্ঞ কাউকে দেখান অথবা বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।

সিডি যদি ড্রাইভের Eject বাটন চাপার পরও বের না হয় তখন বুঝতে হবে সিডিটি এখনও রান করছে। তাই অপেক্ষা করুন।  তবে নিয়মিত এই সমস্যাটি হলে বুঝতে হবে সিডি ড্রাইভের মেকানিজমে সমস্যা।  বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।

কী-বোর্ডে যে সমস্যাটি বেশি ঝামেলায় ফেলে তা হচ্ছে কী-বোর্ডের যে বাটনে যেটি আসার কথা তা না এসে অন্যটি আসা। এ সমস্যার সমাধান করা জানা থাকলে খুবই সহজ।

# কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে Regional and Language অপশনে যান।

# Keyboard and Language ট্যাব থেকে Change Keyboard-এ ক্লিক করুন।

# সেখান থেকে United States International সিলেক্ট করে Apply, Ok করুন।

যদি মাই কম্পিউটারেই সিডি ড্রাইভ খুঁজে পাওয়া না যায় তখন দেখুন এর পেছনের ডাটা ক্যাবল ও পাওয়ার ক্যাবল লুজ হয়ে গিয়েছে কিনা। তারপরও কাজ না হলে বায়োসে ঢুকে দেখতে পারেন আসলেইমাদারবোর্ড ড্রাইভটিকে ডিটেক্ট করতে পারছে কি-না। এখানে বুট ডিভাইসলিস্টে ড্রাইভটি দেখা গেলে বুঝা যাবে যে উইন্ডোজের সমস্যা। সেক্ষেত্রেডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে ড্রাইভের ড্রাইভারটি আনইন্সটল করুন। ড্রাইভের ডাটা ক্যাবল খুলে আবার লাগান। উইন্ডোজ এবার নতুন করে ড্রাইভার ইন্সটল করবে।

কম্পিউটার আপনার ডায়াল আপ বা জিপিআরএস/এজ মডেম কোনো কারণে খুঁজে না পেলে সেটি অন্য স্লটে /পোর্টে লাগিয়ে দেখুন। কম্পিউটার রিস্টার্ট দিয়ে আবার চেষ্টা করে দেখুন।

ডায়াল আপে মডেমের ক্ষেত্রে-
ফোনের ডায়াল টোন আছে কিনা দেখুন।
মডেম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা জানার জন্য ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে চেক করুন।
মডেমের ড্রাইভার নতুন করে ইন্সটল করে দেখুন।

এজ/জিপিআরএস মডেমের ক্ষেত্রে-
মোবাইলের নেটওয়ার্ক চেক করুন।
সীমে ইন্টারনেট এক্টিভেট আছে কিনা দেখুন।
নতুন করে ড্রাইভার ইন্সটল করে দেখুন।

উইন্ডোজের আপডেটিং-এর মাধ্যমে অকেজো হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার ডাউনলোড করে তা যেমন সচল করা যায় তেমনি উল্টোটাও হতে পারে। আপডেট করার পর যদি ডিভাইসটি আর কাজ না করে। তখন নিচের কাজগুলো করতে হবেঃ

# কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ> ডিভাইস ম্যানেজারে যান। এক্সপিতে মাই
কম্পিউটারে রাইট ক্লিক তারপর প্রোপার্টিজ>হার্ডওয়্যার>ডিভাইস ম্যানেজার।

# যে ডিভাইসটি সমস্যা করছে সেটিকে এক্সপান্ড করে রাইট ক্লিক
করেপ্রোপার্টিজ>ড্রাইভারে যান। ভাগ্য ভালো থাকলে ‘রোল ব্যাক ড্রাইভার’
অপশনদেখলে তা সিলেক্ট করলে কাজ হয়ে যাবে। ভাগ্যের কথা বলছি কেননা সব সময় এই অপশনটি
পাবেন না।

# এতে কাজ না হলে একই ড্রাইভার ট্যাব থেকেই আনইনস্টল সিলেক্ট করে আবার নতুন করে
আগের ড্রাইভার ইন্সটল করুন। কাজ হয়ে যাবে।

আর পরামর্শ হচ্ছে যদি ডিভাইসটি ঠিকমতো কাজ করতে থাকে তাহলে একমাত্র গ্রাফিক্স
কার্ড বাদে কোনোটাই ড্রাইভার আপডেট করা থেকে বিরত থাকবেন। অনাকাঙ্খিত ঝামেলা থেকে
রেহাই পাবেন এতে।

কম্পিউটারের বেসিক কনফিগারেশনগুলো জানার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। 

# মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে জেনারেল ট্যাব থেকে জেনে নিতে পারবেন প্রসেসর, র‌্যাম ও অপারেটিং সিস্টেম সংক্রান্ত তথ্য। 

# গ্রাফিক্স বা ডিসপ্লে প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে ইনফরমেশন থেকে জানতে পারবেন গ্রাফিক্সকার্ড সংক্রান্ত তথ্য।

# আর অনেক ক্ষেত্রেই কম্পিউটার কেনার ক্যাশমেমোতেই এসব বিস্তারিত লিখা থাকে। 

# আবার কোনো অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর সহায়তায় জেনে নিতেপারেন তথ্যগুলো। যেভাবেই যাই জানুন না কেন তা ভালোভাবে লিখে যত্নসহকারে রেখে দিন, পরবর্তীতে কাজে আসতে পারে এসব তথ্য।

এখন প্রায় সব কম্পিউটারেই বিল্টইন কিছু না কিছু থাকেই। যেমন- এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড, ল্যান কার্ড ইত্যাদি। বিল্টইন অর্থ এই হার্ডওয়্যারটি আপনার মাদারবোর্ডে দেয়াই আছে। 

আপনি আলাদা না কিনে এটি দিয়েই কাজ চালাতে পারেন। পারফরমেন্সে বিল্টইন হার্ডওয়্যারটি কখনই স্বতন্ত্র হার্ডওয়্যারের সমকক্ষ হতে পারে না। তবে যারা সাধারণ বা মাঝারি মানের ব্যবহারকারী তাদের জন্য বিল্টইন সাউন্ড বা এজিপি কার্ডই যথেষ্ঠ। 

আর বিল্টইন সাউন্ড কার্ড বা এজিপিতে সমস্যা হলে তা বেশ বিড়ম্বনাকর। অনেকক্ষেত্রে মাদারবোর্ডের উপরই চাপটা পড়ে বেশ জটিলাকার ধারণ করে। তবে মনে রাখবেন, বিল্টইন এজিপি মানেই এটি আপনার সিস্টেম থেকে র‌্যাম শেয়ার করে। তাই বিল্টইন এজিপি ব্যবহার করলে বাড়তি র‌্যাম লাগানোটাই ভালো। তা না হলে সিস্টেম স্লো হয়ে যাওয়া বা হ্যাং করাসহ অনেক সমস্যাই হতে পারে। আর বিল্টইন ল্যান কার্ড দিয়ে সমস্যা ছাড়াই কাজ চালাতে পারেন।

কম্পিউটারের অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ অংশ এই পাওয়ার সাপ্লাই। কম্পিউটারের ভেতরের যাবতীয় হার্ডওয়্যার চলে ডিসি পাওয়ারে। এসি ২২০ ভোল্ট পাওয়ারকে পাওয়ার সাপ্লাই ডিসি ৩.৫ ভোল্ট, ৫ ভোল্ট ও ১২ ভোল্টে রূপান্তর করে মাদারবোর্ডে সরবরাহ করে। ফলে সিপিইউর ভেতর যে কারেন্ট থাকে তা বিপদজনক নয়। তবে যদি পাওয়ার অন করে কখনও কাজ করতে হয় তখন খেয়াল রাখতে হবে যেন শর্টসার্কিট না হয় এবং পায়ে যেন শুকনা জুতা থাকে। 

পাওয়ার সাপ্লাই-এর কারণে অনেক সমস্যাই হতে পারে। অস্থিতিশীল ভোল্টেজ সাপ্লাই আপনার মূল্যবান হার্ডওয়্যারের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সেজন্য ভালোমানে ইউপিএস ব্যবহার করাটা জরুরি।

ভালোমানের আর্থিং কম্পিউটারের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। আর্থিং করা থাকলে বৈদ্যুতিক শক খাবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এটি মূলত বিদ্যুতকে নিরাপদ পথে ভূমিতে নিয়ে যেতে ব্যবহৃত হয়। কোনো ইলেকট্রিশিয়ানকে ডেকে আপনার বাড়ির আর্থিং ঠিক আছে কিনা তাচেক করে নিতে পারে। আর্থিং না থাকার কারণে অনেক সময় কোনো কোনো হার্ডওয়্যার ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। মনিটর কাঁপতে পারে, কেসিং-এর বডি শক করতে পারে; এমনকি মাদারবোর্ড বা হার্ডডিস্কের ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে।

যদি ভোল্টেজের উঠানামার জন্য পিসি রিস্টার্ট দেয় তাহলে ইউপিএস ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আরেকটি সমস্যা অনেকসময় দেখা যায়। কম্পিউটারের উপর যখন বেশি চাপ পড়ে তখন সেটি রিস্টার্ট দিতে পারে। পিসি যখন হাইএন্ড গেম বা এপ্লিকেশন রান করতে যায় তখন পিসি রিস্টার্ট করে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই। অর্থাৎ কাজের সময় আপনার পাওয়ার সাপ্লাই মাদারবোর্ডে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনাকে পাওয়ার সাপ্লাইটি পরিবর্তন করতে হবে।

আপনার ল্যাপটপটি যদি ভালো ব্রান্ডের না হয়ে থাকে তাহলে এটি কেনার কিছুদিন পর থেকেই এই ব্যাকআপ টাইম কমতে পারে। এখানে আসলে করার কিছু নেই। এজন্য কেনার সময়ই ভালো ব্রান্ডের জিনিস বেছে নিন। আর ল্যাপটপ যখন চার্জ দিবেন তখন টানা চার্জ দিবেন। বারবার চার্জ থেকে এটিকে খুলবেন না। এতে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। ব্যাটারি দিয়ে ব্যবহার করলে চার্জ যখন একেবারে শেষের দিকে চলে আসবে তখন আবার নতুন করে চার্জ দিবেন। তার আগে নয়।

১ম অংশঃ ইউপিএস-এর সুইচ যদি চালু হয় এবং বাতি জ্বলে কিন্তু তাও আউটপুটে পাওয়ার না পাওয়া যায় তবে বুঝতে হবে যে সমস্যা ইউপিএস এর সার্কিটে। তবে সবার আগে পরীক্ষা করে নিন ইউপিএস এরফিউজ ঠিক আছে কিনা। যদি ফিউজ ঠিক থাকার পরও পাওয়ার না আসে তাহলে অভিজ্ঞ কোনো টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন।

২য় অংশঃ অনেকসময়ই দেখা যায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই ইউপিএস চালু থাকলেও কম্পিউটার রিস্টার্ট দেয় কিংবা ইউপিএস ১/২ মিনিটের বেশি ব্যাকআপ দিচ্ছে না। এমন হলে বুঝতে হবে ইউপিএস এর ব্যাটারি পুরাতন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় নতুন ব্যাটারি লাগালেই সমস্যার সমাধান হবে।

অনেকসময়ই দেখা যায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই ইউপিএস চালু থাকলেও কম্পিউটার রিস্টার্ট দেয়। বেশ কয়েক কারণে এমন হতে পারে-

ইউপিএস এর সার্কিটে সমস্যার কারণে এমন হতে পারে।
ইউপিএস-এ চার্জ কম থাকলে।
ইউপিএস-এ লোডের চেয়ে বেশি পাওয়ারের যন্ত্র লাগানো থাকলে।

যদি চার্জ ফুল থাকার পরও কারেন্ট চলে গেলে ইউপিএস থাকা সত্ত্বেও পিসিরিস্টার্ট দেয় তাহলে পিসির সাথে সিপিইউ আর মনিটর বাদে অন্য অতিরিক্তযন্তাংশ খুলে তারপর আবার পরীক্ষা করুন। যদি তখনও একই সমস্যা হয় তাহলে ইউপিএসটি টেকনিশিয়ানকে দেখান।

সাধারণত রোলার বলবিশিষ্ট মাউসগুলোর ভেতর ময়লা ও ধুলাবালি জমে প্রায়ই সমস্যা তৈরি করে। এজন্য উচিত নিয়মিত মাউস পরিষ্কার করা। প্রথমে মাউসটি হাতে নিয়ে উল্টো করে নিচের অংশ গোলাকৃতি চাকতিটি হাতের আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে বামদিকে ঘুরিয়ে ফেলুন। ভেতরের রোলার বলটি বের করুন। এবার মাউস হোলের ভেতরে তাকান। সেখানে বেশ কিছু রোলার দেখতে পাবেন। ময়লা-ধুলাবালি সেখানেই জমে। চিমটা বা হাতের নখ দিয়ে ময়লাগুলো আলগা করে মাউস উল্টে বাইরে ফেলে দিন। এবার মাউসের বলটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। সব কাজ শেষ হলে বলটি ভেতরে রেখে চাকতিটি নিয়ে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে বন্ধ করুন।

অপটিক্যাল মাউস নিয়ে বলার কিছু নেই। কেননা বেসিক ইলেকট্রনিক সার্কিট,সোল্ডারিং, মাল্টিমিটার এর সাথে যাদের পরিচয় নেই তারা আসলে নতুন মাউস কেনা ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না।

ল্যাপটপ কম্পিউটার যদি পাওয়ার না পায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা এডাপ্টারের সমস্যা। আপনার কারেন্টের সকেট এবং এডাপ্টার ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করুন। সব ঠিক থাকার পরও যদি ল্যাপটপ চার্জ না নেয় তাহলে সেটা ল্যাপটপের সমস্যা। অভিজ্ঞ কোনো টেকনিশিয়ানের সহায়তা নিন।

ল্যাপটপ ছাড়ার পর যদি ডিসপ্লে না আসে তাহলে সেটা বেশ চিন্তার বিষয়। বায়োসের স্ক্রীণ আসলে বুঝতে হবে স্ক্রীণ এবং কানেকশন ঠিক আছে। অপারেটিং সিস্টেমের সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে।
আর একদমই মনিটর কালো হয়ে থাকলে সেটা অভিজ্ঞ কাউকে দেখান। ল্যাপটপের ব্যাটারী খুলে আবার লাগিয়ে দেখতে পারেন।

অনেক সময় কম্পিউটার চালু হবার সময় হার্ডডিস্ক এরর দেখায়। এর কারণ হতে পারে-

# মাদারবোর্ড হার্ডডিস্ক পাচ্ছে না। প্রথমেই নিশ্চিত হোন হার্ডডিস্কের পাওয়ার ক্যাবল ঠিক আছে কি-না। তারপর হার্ডডিস্ক থেকে মাদারবোর্ডের ডাটা ক্যাবল চেক করুন।

# হার্ডডিস্কের পেছনের পিন ঠিক আছে কিনা দেখুন।

# বায়োসের সেটিংসের কারণেও সমস্যা হতে পারে। বায়োসে গিয়ে দেখতে পারেন হার্ডডিস্ক
পাওয়া যাচ্ছে কিনা।

# হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর থাকলেও এমনটা হতে পারে।

কম খরচে হার্ডওয়ার আপগ্রেড করে পিসির গতি বাড়াতে চাইলে র‍্যাম বাড়ানোটাই হবে বুদ্ধিমানে কাজ। পিসির র‌্যাম মেমোরি যত বেশি হবে আপনার কাজও তত দ্রুত হবে এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কেননা পিসি চলাকালীন সময়ে যত কাজ হয় তার সবকিছুই ট্রান্সমিট হয় র‌্যামের মধ্য দিয়ে। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই র‌্যাম মেমোরি বাড়ালে উইন্ডোজের পারফরম্যান্স এ পরিবর্তনটা ঈর্ষণীয় পর্যায়ের। তবে খেয়াল রাখবেন নতুন র‌্যামটি যেন আপনার পুরাতন র‌্যামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাসস্পিড বিশিষ্ট হয়। নাহলে সিস্টেম হ্যাং করতে পারে। আর চেষ্টা করবেন বেশি বাসস্পিডের র‌্যাম কিনতে। বর্তমানে বাজারে ডিডিআর২ ৫৩৩, ৬৬৭, ৮০০,১০৬৬ এবংডিডিআর৩ ১০৬৬ ও ১৩৩৩ মেগাহার্জ স্পিডের র‌্যাম পাওয়া যাচ্ছে। আর আপনার মাদারবোর্ড যদি ডুয়েল চ্যানেল মেমোরি সাপোর্টেড হয় তাহলে র‌্যাম একটির বদলে দুটি কিনে র‌্যাম দুটি একই রঙের স্লটে স্থাপন করুন। এতে বর্ধিত বাসস্পিড পাবেন আপনি।

প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে আপনি পিসিতে আওন্য আরেকজন ইউজারের যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অন্য নতুন একটি ইউজার একাউন্ট তৈরির মাধ্যমে আপনি সে কতক্ষণ পিসি চালাতে পারবে, কি কি কাজ করতে পারবে, কোন কোন প্রোগ্রাম/গেমস চালাতেপারবেন সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

যাদের পিসিতে র‍্যাম কম আছে তারা চাইলে উইন্ডোজের রেডিবুস্ট ফিচার ব্যবহার করে বাড়তি র‍্যামের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবেন। কম্পিউটার দুই ধরণের মেমোরি ব্যবহার করে চলার সময়। একটা হচ্ছে হার্ডডিস্ক আরেকটা র‍্যাম। দুইটার পার্থক্য হচ্ছে র‍্যাম শুধু কম্পিউটার চলার সময় তথ্য জমা রাখতে পারে,পাওয়ার চলে গেলে সব তথ্য মুছে যায় কিন্তু হার্ডডিস্কের ক্ষেত্রে তা হয় না। কিন্তু র‍্যাম হার্ডডিস্ক অপেক্ষা অনেক দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে বলে কম্পিউটার কাজ করার সময় র‍্যামের মেমোরিই ব্যবহার করে।

উইন্ডোজ সেভেনে আপনি চাইলে আপনার পেনড্রাইভকেও র‍্যামের মেমোরির মতো ব্যবহার করে পিসির সার্বিক পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটাতে পারবেন। অবশ্য ভিসতাতেও এটা করা সম্ভব।

# এজন্য আপনার পেনড্রাইভটি ইউএসবি পোর্টে লাগান। কমপক্ষে ৪ গিগাবাইট মেমোরি বিশিষ্ট র‍্যাম একাজে ব্যবহার করাটাই ভাল।

# পেনড্রাইভে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান। উপরের রেডিবুষ্ট ট্যাবে ক্লিক করুন।

# প্রথমেই তিনটি অপশন দেখবেন। প্রথমটির মানে তো বুঝতেই পারছেন,নেতিবাচক। পরেরটি সিলেক্ট করার অর্থ ডিভাইসটির পুরোটাই তথা সম্পূর্ণ মেমোরি রেডিবুষ্ট ব্যবহার করবে। তবে ৩ নাম্বারটি নির্বাচন করাই হবে বুদ্ধিমানের মতো কাজ।এটি দিয়ে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো মেমোরি উইন্ডোজকে ব্যবহারের জন্য দিতে পারবেন। তবে উইন্ডোজ নিজেই একটা এমাউন্ট রেকমেন্ড কররে আপনাকে।
এখন ওকে দিলেই রেডিবুষ্টের খেল শুরু। আপনি চাইলে হাই পারফরম্যান্স গেম খেলার সময় এই অপশন দরকারমতো ব্যবহার করে পারেন।

সিস্টেম রিস্টোর নিঃসন্দেহে উইন্ডোজের অন্যতম সেরা সিস্টেম প্রোটেকশন টুল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি যদি খুব বেশি সফটওয়ার ইন্সটল বা আনইন্সটল করে থাকেন তাহলে এই সিস্টেম রিস্টোর আপনার পিসিতে কয়েক গিগাবাইট পর্যন্ত স্পেস দখল করে ফেলতে পারে। তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুনঃ 

# মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান। বামপাশের মেনু থেক সিস্টেম প্রোটেকশনে যান।

# সিস্টেম প্রোটেকশন ট্যাব থেকে কনফিগারে ক্লিক করুন। 

# সিস্টেম রিস্টো্র পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চাইলে টার্ণ অফে ক্লিক করে এপ্লাই ওকে করুন।

# অথবা সিস্টেম রিস্টোর অন রেখেই ডিস্ক স্পে ইউজেস থেকে ম্যাক্সিমাম ইউজেস ঠিক করে দিন। তাহলেই আর কোন সমস্যা হবে না।

সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট দিয়ে পিসিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হয় সেই উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো-
# শুরুতেই সিস্টেম রিস্টোর ওপেন করুন।
# System Restore বাটনে ক্লিক করুন।
# সিস্টেম রিস্টোর উইন্ডো চালু হবে। নেক্সটে যান।
# সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্টগুলার একটি তালিকা দেখতে পাবেন। খেয়াল করলেই এটি তৈরির
সময়,এবং ঐ সময়ে কি কাজ করা হয়েছিল তা দেখতে পাবেন।
# নিচে Scan for affected programs এ ক্লিক করলে এই রিস্টোর পয়েন্ট এক্টিভ করলে সিস্টেমে বর্তমান অবস্থা থেকে কি কি পরিবর্তন হবে বা কোন কোন এপ্লিকেশন,ডাটা মুছে যাবে বা পুরাতন কোনটা ফিরে আসবে তার তালিকা দেখতে পাবেন। একটা কথা মনে রাখবেন,সিস্টেম রিস্টোর শুধুমাত্র এপ্লিকেশনের উপর প্রভাব ফেলে এপ্লিকেশন দিয়ে তৈরি কোন ফাইলের উপর প্রভাব ফেলে না।
# আর Show more restore points এ ক্লিক করলে যদি আরো কোন পুরাতন সিস্টেম রিস্টোর
পয়েন্ট থেকে থাকে তার তালিকা দেখতে পাবেন।
# এরপর Next এ ক্লিক Finish প্রেস করলেই কাজ শুরু হবে।মনে রাখবেন,এই সময়ে পিসি একবার রিস্টার্ট নিবেন। রিস্টার্ট নেবার পরো আরো কিছুক্ষন সমস্য লাগবে কাজ শেষ হতে। পুরোটা সময়ে যদি কোনভাবে বিদ্যুতজনিত কোন কারনে পিসি বন্ধ হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন। সতর্ক থাকুন এ ব্যাপারে।

বর্তমানে প্রফেশনালদের অনেকেই ল্যাপটপের পাশাপাশি নেটবুক ব্যবহার করছেন এর ছোটো সাইজ বেশি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ এর জন্য। নেটবুকগুলা মূলত লো-এন্ড কম্পিউটিং এবং অফিস প্রোগ্রাম চালাবার উপযোগী করে বানানো। এজন্য লো কনফিগারেশনের কারণে এতে হাই ডেফিনেশন একটু ভালো মানের ভিডিওই ঠিমতো চলে না। কিন্তু ২৫০০০ টাকা দামের একটা কম্পিউটারে ভিডিও চালানো যাবে না এটা মানাটা আসলেই কষ্টের। নেটবুকেই কিভাবে ৭২০পি বা ১০৮০পি ভিডিও চালাতে পারবেন এই কথা বলার জন্যই টিপস।

# এর জন্য আমাদের দরকার হবে ২টি সফটওয়ার- মিডিয়া প্লেয়ার ক্লাসিক এবং কোরএভিসি।

# প্রথমেই আপনার সিস্টেমে সাধারণ উপায়ে মিডিয়া প্লেয়ার ক্লাসিক ইন্সটল করে নিন। আর যদি কেলাইট কোডেক প্যাক ইন্সটল করা থাকে তাহলে তাতেও হবে।

# এবারে আপনাকে কোরএইভিসি ভিডিও ডিকোডার ইন্সটল করতে হবে। ইন্সটলেশনের সময় ‘হালি মিডিয়া ইন্সটলার’ অপশনটি চুজ কম্পোনেন্টস থেকে বাদ দিতে হবে।

# ইন্সটলের পর কোরকোডেক চালু করুন। কনফিগারে যান। সেখানে ডিব্লকিং কে স্কিপ ওলওয়েজ করুন। আর ডিইন্টারলেসিং কে নান সেট করে এপ্লাই ওকে করুন।

# এবারে মিডিয়া প্লেয়ার ক্লাসিক ওপেন করিন। এর ভিউ ট্যাব থেকে অপশন-এ যান। বামপাশের ট্রি মেনু থেকে এক্সটার্নাল ফিল্টার সিলেক্ট করুন

# ডানে ফিল্টারের লিস্টে কোরএভিসি ভিডিও ডিকোডার সিলেক্ট করুন। এটি না থাকলে এড ফিল্টারে ক্লিক করে ফিল্টারটি ব্রাউজ করে দেখিয়ে দিন।

# এবারে প্লেব্যাক থেকে আউটপুট সিলেক্ট করুন। ডাইরেক্টশো ভিডিও ইভিআরসিলেক্ট করে এপ্লাই করে ওকে করুন। মিডিয়া প্লেয়ার ক্লাসিক বন্ধ করে আবার চালু করুন।

# কোরএভিসি কোডেক নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে শার্ক০০৭ কোডেক দিয়েও নেটবুকে এইচডি ভিডিও চালানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

উইন্ডোজের যেকোনো সমস্যায় পড়লে আপনার অবশ্যই প্রয়োজন হবে সিস্টেম সেটআপ ডিস্ক। কিন্তু ধরুন আপনার কাছে উইন্ডোজ-এর সিডি/ডিভিডি নেই, কম্পিউটারও চালু হচ্ছে না সময় বুঝে। কি করবেন তখন আপনি? এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে সিস্টেম রিপেয়ার ডিস্ক। এর মাধ্যমে আপনার উইন্ডোজ চালু না হলে সেটিকে আপনি ঠিক করতে পারবেন।
1. স্টার্ট মেনুতে
system repair disc লিখে এন্টার দিন। ক্রিয়েট এ সিস্টেম রিপেয়ার ডিস্ক ওপেন হবে।
2. আপনার সিডি/ডিভিডি রাইটারে ব্ল্যাংক ডিস্ক ঢুকিয়ে ক্রিয়েট ডিস্কে ক্লিক করুন।
3. এই ডিস্ক মাত্র ১৪২ মেগাবাইট জায়গা নিবে,তাই চাইলে সিডিতেও রাইট করে নিতে পারেন আপনি।
4. এবারে সিস্টেমের যেকোনো সমস্যায় কম্পিউটার বুট না হলে এই ডিস্ক থেকে বুট করান।
5. পরের মেনু থেকে আপনার অপারেটিং সিস্টেম সিলেক্ট করে নেক্সটে যান।
6. এরপরেই আপনি রিকভারির অপশনগুলা দেখতে পাবেন। এবারে প্রয়োজনীয় অপশন ব্যবহার করে উইন্ডোজ রিপেয়ার করলে আশা করি আবারো আপনার কম্পিউটার চালু হবে।

যদি একটি ল্যাপটপ সবসময় প্লাগ-ইন করা থাকে এবং চার্জ করা হয়,তাহলে ব্যাটারিটি অবিরাম বিদ্যুতের প্রবাহ অনুভব করবে, যা সময়ের সাথে সাথে ব্যাটারির কর্মক্ষমতার অবনতি ঘটাতে পারে। এর কারণ হল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি,যা সাধারণত ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয়, ডিসচার্জ করার জন্য এবং তারপরে রিচার্জ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং বর্ধিত সময়ের জন্য তাদের প্লাগ-ইন এবং সম্পূর্ণরূপে চার্জ করা তাদের অবক্ষয়কে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই প্রতিরোধ থেকে বাঁচার জন্য, কিছু ল্যাপটপে ইন্টার্নালি ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে যা ইউজারকে সর্বোচ্চ চার্জের লেভেল সেট করতে বা ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হওয়ার সময় সেট করতে দেয়। এটি ক্রমাগত চার্জিংয়ের কারণে ব্যাটারির উপর চাপ কমিয়ে ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। সংক্ষেপে, একটি ল্যাপটপ প্লাগ-ইন রেখে এবং বাড়তি সময়ের জন্য চার্জ করা সময়ের সাথে সাথে ব্যাটারির আয়ু এবং ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। ল্যাপটপটি আনপ্লাগ রাখা এবং এর লাইফটাইম দীর্ঘায়িত করতে পর্যায়ক্রমে ব্যাটারি ব্যবহার করাই বেস্ট।
error: Content is protected !!
×

 

সম্মানিত গ্রাহক!

"পিসি সার্ভিসিং বিডি" তে জানাই স্বাগতম।  ঘরে বসে কম্পিউটার বিষয়ক সকল প্রকার সেবা পেতে আপনার সমস্যা আমাদের সাথে শেয়ার করুন।  আমাদের অভিজ্ঞ টিম আপনাকে সেবা দিতে সদা প্রস্তুত।  আমাদের রেস্পন্স করতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগতে পারে (ক্ষেত্র বিশেষে)।  আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

×